জামালগঞ্জে বিধবা নারীর বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ
- আপলোড সময় : ২৩-০৪-২০২৫ ০৭:১৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৩-০৪-২০২৫ ০৭:১৯:৪৭ পূর্বাহ্ন

জামালগঞ্জ প্রতিনিধি ::
জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়নের পলক গ্রামে বিধবা নারী সুমতি দাসের (৫০) বসতঘর ভাঙচুর ও চারটি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২২এপ্রিল) ভোর ৫টায় এ ঘটনা ঘটে। সুমতি দাস বাদী হয়ে জামালগঞ্জ থানায় একই গ্রামের মৃত হরিমন তালুকদারের ছেলে হরেন্দ্র তালুকদার ও সুপ্রিম তালুকদার এবং সতীন্দ্র তালুকদারের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর পাঁচটায় পলক গ্রামে সুমতি দাসের বাড়ির সামনে এসে নামোল্লেখিত বাদীগন গালাগালি করতে থাকে। এতে সুমতি দাস গালাগালির কারণ জিজ্ঞেস করলে বিবাদীগন ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের বেড়া খুলে ফেলতে শুরু করে এবং ঘরের মালামাল ভেঙে ফেলে। বাড়ির পাশে থাকা চারটি গাছও কেটে ফেলে। সুমতির চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসতে শুরু করলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায় এবং এই বলে হুমকি দেয় থানায় মামলা অথবা কাউকে জানালে তাকে খুন করা হবে। অভিযোগ থেকে জানাযায়, বাদীর প্রতিবেশী হরেন্দ্র তালুকদারের সাথে দীর্ঘদিন যাবত বাড়ি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলছে সুমতির। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমরেন্দ্র আচার্য শম্ভু জানান, জায়গা সম্পত্তির বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় আছে। আইনগতভাবে এটি নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নেওয়া সমীচীন নয়।
জামালগঞ্জ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি পূর্ণেন্দু ঘোষ চৌধুরী বলেন, এ ধরনের কার্যক্রমের মোটেই সমীচীন নয়। মামলা চলাকালীন নিরীহ মহিলার উপর আক্রমণ ও তার বসতবাড়ি ভাঙার নিন্দা জানাই।
অভিযোগের বিষয়ে হরেন্দ্র তালুকদার জানান, ২০০৯ সালে বিজ্ঞ আদালত আমার পক্ষে রায় দিয়ে ঘর উচ্ছেদ করে দেন। পরদিন এলাকার প্রভাবশালী লোকদের সহায়তায় আবার ঘরটি স্থাপন করা হয়। কিন্তু আদালতের রায় আমার পক্ষে আছে। বিধায় ঘর ভাঙার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু মহিলার চিৎকারের কারণে আর ঘর ভাঙা হয়নি।
জামালগঞ্জ থানার উপসহকারী পুলিশ কর্মকর্তা সুপ্রাংশু দে দিলু জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে এসেছি। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ